গাইবান্ধা জেলা বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক অঞ্চল। এটি রংপুর বিভাগের অন্তর্গত এবং ঐতিহাসিক, সাংস্কৃতিক ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর একটি জেলা। গাইবান্ধা জেলার প্রশাসনিক কাঠামোতে উপজেলা ও ইউনিয়নগুলোর ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই জেলায় মোট ৭টি উপজেলা রয়েছে, এবং প্রতিটি উপজেলার অধীনে রয়েছে বেশ কয়েকটি ইউনিয়ন। গাইবান্ধা জেলার মোট ইউনিয়নের সংখ্যা ৮২টি।
গাইবান্ধা জেলার উপজেলাগুলো হলো: গাইবান্ধা সদর, সুন্দরগঞ্জ, সাদুল্লাপুর, পলাশবাড়ী, গোবিন্দগঞ্জ, সাঘাটা এবং ফুলছড়ি। প্রতিটি উপজেলায় গড়ে ১০-১২টি ইউনিয়ন রয়েছে। ইউনিয়নগুলো স্থানীয় সরকারের প্রাথমিক স্তর হিসেবে কাজ করে এবং গ্রামীণ উন্নয়ন, প্রশাসনিক কার্যক্রম ও জনসেবায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
গাইবান্ধা জেলার ইউনিয়নগুলো তাদের নিজস্ব বৈশিষ্ট্য ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য নিয়ে গর্ব করে। এখানকার ইউনিয়নগুলো কৃষি, মৎস্য চাষ, পশুপালন ও ক্ষুদ্র শিল্পের জন্য বিখ্যাত। এছাড়াও, গাইবান্ধা জেলার ইউনিয়নগুলোতে রয়েছে নদী, হাওর ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অপার সম্ভার। বিশেষ করে, ব্রহ্মপুত্র নদ ও করতোয়া নদীর তীরবর্তী ইউনিয়নগুলো প্রকৃতিপ্রেমীদের জন্য আকর্ষণীয় স্থান।
গাইবান্ধা জেলার ইউনিয়নগুলোর উন্নয়নে স্থানীয় সরকার, এনজিও এবং সরকারি-বেসরকারি সংস্থাগুলো নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, যোগাযোগ ব্যবস্থা ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে ইউনিয়ন পরিষদগুলোর ভূমিকা অপরিসীম। এখানকার মানুষ অতিথিপরায়ণ এবং তাদের জীবনযাত্রা সহজ-সরল।
সর্বোপরি, গাইবান্ধা জেলার ৮২টি ইউনিয়ন এই অঞ্চলের উন্নয়ন ও সমৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। এই ইউনিয়নগুলো শুধু প্রশাসনিক এককই নয়, বরং স্থানীয় সংস্কৃতি, ঐতিহ্য ও সম্প্রদায়ের প্রতীক। গাইবান্ধা জেলার ইউনিয়নগুলো তার অনন্য বৈশিষ্ট্য নিয়ে বাংলাদেশের মানচিত্রে একটি বিশেষ স্থান দখল করে আছে।